Header Ads

Header ADS

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের শেষনবী

শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
শেষনবী
তুলনা ঐ ব্যক্তির ন্যায় যিনি একটি গৃহ নির্মাণ করেছেন। অতঃপর সেটিকে খুবই সুন্দর ও আকর্ষণীয় করেছেন। কিন্তু কোণায় একটি জায়গা খালি রেখেছেন। তখন লােকেরা ঐ স্থানটি ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে এবং বিস্ময় প্রকাশ করতে থাকে ও বলতে থাকে, কেন এখানে একটি ইট দেওয়া হয়নি? রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমিই সেই ইট এবং আমিই
পালিত পুত্র যায়েদ বিন হারেছাহ্র তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী যয়নাব বিনতে জাহশকে আল্লাহর হুকুমে বিয়ে করার পর কাফির ও মুনাফিকদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে অত্র আয়াত নাযিল হয়। এর মাধ্যমে যায়েদ বিন হারেছাহকে যায়েদ বিন মুহাম্মাদ’ বলতে নিষেধ করা হয় (ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা আহযাব ৪০ আয়াত)। দুর্ভাগ্য এটি এখন বিদআতীদের নিকট মীলাদের আয়াতে পরিণত হয়েছে।

বুখারী হা/৩৫৩৫; মুসলিম হা/২২৮৬; মিশকাত হা/৫৭৪৫, আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে। বুখারী হা/৩৪৫৫; মুসলিম হা/১৮৪২; আবুদাউদ হা/৪২৫২ মিশকাত/৩৬৭৫, ৫৪০৬, ছাওবান (রাঃ) হ'তে।


লাল ও কালাে সকলের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। অন্য নবীগণ নির্দিষ্টভাবে স্ব স্ব গােত্রের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। কিন্তু আমি মানবজাতির সকলের জন্য প্রেরিত হয়েছি'।৬ আল্লাহ বলেন, আমরা তােমাকে পুরা মানবজাতির প্রতি প্রেরণ করেছি’ (সাবা ৩৪/২৮)। অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন ‘অতঃপর আল্লাহ তাঁকে জিন ও ইনসানের প্রতি প্রেরণ করেন।১০৭ আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত অন্য হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন আমাকে পুরা সৃষ্টি জগতের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে এবং আমাকে দিয়েই নবীদের সিলসিলা সমাপ্ত করা হয়েছে'।


বর্তমান পৃথিবীর সকল জিন ও ইনসান শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উম্মত। যারা তাঁর দ্বীন কবুল করেছে, তারা হ’ল উম্মাতুল ইজাবাহ' অর্থাৎ মুসলিম। আর যারা তাঁর দ্বীন কবুল করেনি, তারা হ’ল ‘উম্মাতুদ দা'ওয়াহ' অর্থাৎ কাফিরমুশরিকগণ, যাদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিতে হবে। যেহেতু আর কোন শরী'আত নিয়ে আর কোন নবী আসবেন না, সেকারণ কিয়ামত পর্যন্ত সকল জিনইনসান শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উম্মত। মুসলমানের কর্তব্য হ’ল শেষনবী (ছাঃ)এর আনীত ইসলামী শরী'আত নিজেরা মেনে চলা এবং দুনিয়াবাসীকে তা মেনে চলার আহ্বান জানানাে। কেননা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ

জীবন তার কসম করে বলছি, ইহুদী হৌক বা নাছারা হৌক এই উম্মতের যে কেউ আমার আগমনের খবর শুনেছে, অতঃপর মৃত্যুবরণ করেছে, অথচ আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি, তার উপরে ঈমান আনেনি, সে ব্যক্তি অবশ্যই জাহান্নামী হবে।

মূলতঃ খতমে নবুঅতের আক্বীদার মধ্যেই বিশ্ব মুসলিম ও বিশ্ব মানবতার ঐক্য ও অগ্রগতি নির্ভর করে। এই ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য শয়তান শুরু থেকেই চেষ্টা চালিয়েছে। এবং এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উম্মতকে সাবধান করে বলেন, ‘অতদিন কিয়ামত হবে না, যতদিন না আমার উম্মতের কিছু গােত্র মুশরিকদের সঙ্গে মিশে যাবে এবং মূর্তিপূজা করবে। আর সত্ত্বর আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশ জন

আহমাদ হা/১৪৩০৩; বুখারী হা/৩৩৫; মুসলিম হা/ ৫২১; মিশকাত হা/৫৭৪৭। 

দারেমী, ‘ভূমিকা’ হা/৪৬, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৫৭৭৩। 

মুসলিম হা/৫২৩; মিশকাত হা/৫৭৪৮। ১০৯. মুসলিম হা/১৫৩; মিশকাত হা/১০।

মিথ্যাবাদীর জন্ম হবে। যাদের প্রত্যেকে ধারণা করবে যে, সে নবী । অথচ আমি শেষনবী। আমার পরে কোন নবী নেই। আর আমার উম্মতের মধ্যে চিরদিন একটি দল হক-এর উপরে বিজয়ী থাকবে, বিরােধীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। এভাবেই আল্লাহর নির্দেশ (কিয়ামত) এসে যাবে’ (আবুদাউদ হা/৪২৫২)। রাসূল (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় ছান'আর আসওয়াদ ‘আনাসী ও ইয়ামামার মুসায়লামা কাযযাব (মুসলিম হা/২২৭৪) এবং তাঁর মৃত্যুর পরে আরও কয়েকজন। সহ এ যুগে মির্যা গােলাম আহমাদ কাদিয়ানী (১৮৩৯-১৯০৮ খৃ.) তাদের অন্যতম।



No comments

Powered by Blogger.