হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের শেষনবী
শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) |
বুখারী হা/৩৫৩৫; মুসলিম হা/২২৮৬; মিশকাত হা/৫৭৪৫, আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে। বুখারী হা/৩৪৫৫; মুসলিম হা/১৮৪২; আবুদাউদ হা/৪২৫২ মিশকাত/৩৬৭৫, ৫৪০৬, ছাওবান (রাঃ) হ'তে।
লাল ও কালাে সকলের প্রতি প্রেরিত হয়েছি। অন্য নবীগণ নির্দিষ্টভাবে স্ব স্ব গােত্রের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। কিন্তু আমি মানবজাতির সকলের জন্য প্রেরিত হয়েছি'।৬ আল্লাহ বলেন, আমরা তােমাকে পুরা মানবজাতির প্রতি প্রেরণ করেছি’ (সাবা ৩৪/২৮)। অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন ‘অতঃপর আল্লাহ তাঁকে জিন ও ইনসানের প্রতি প্রেরণ করেন।১০৭ আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত অন্য হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন আমাকে পুরা সৃষ্টি জগতের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে এবং আমাকে দিয়েই নবীদের সিলসিলা সমাপ্ত করা হয়েছে'।
বর্তমান পৃথিবীর সকল জিন ও ইনসান শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উম্মত। যারা তাঁর দ্বীন কবুল করেছে, তারা হ’ল উম্মাতুল ইজাবাহ' অর্থাৎ মুসলিম। আর যারা তাঁর দ্বীন কবুল করেনি, তারা হ’ল ‘উম্মাতুদ দা'ওয়াহ' অর্থাৎ কাফিরমুশরিকগণ, যাদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিতে হবে। যেহেতু আর কোন শরী'আত নিয়ে আর কোন নবী আসবেন না, সেকারণ কিয়ামত পর্যন্ত সকল জিনইনসান শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উম্মত। মুসলমানের কর্তব্য হ’ল শেষনবী (ছাঃ)এর আনীত ইসলামী শরী'আত নিজেরা মেনে চলা এবং দুনিয়াবাসীকে তা মেনে চলার আহ্বান জানানাে। কেননা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ
মূলতঃ খতমে নবুঅতের আক্বীদার মধ্যেই বিশ্ব মুসলিম ও বিশ্ব মানবতার ঐক্য ও অগ্রগতি নির্ভর করে। এই ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য শয়তান শুরু থেকেই চেষ্টা চালিয়েছে। এবং এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উম্মতকে সাবধান করে বলেন, ‘অতদিন কিয়ামত হবে না, যতদিন না আমার উম্মতের কিছু গােত্র মুশরিকদের সঙ্গে মিশে যাবে এবং মূর্তিপূজা করবে। আর সত্ত্বর আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশ জন
আহমাদ হা/১৪৩০৩; বুখারী হা/৩৩৫; মুসলিম হা/ ৫২১; মিশকাত হা/৫৭৪৭।
দারেমী, ‘ভূমিকা’ হা/৪৬, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৫৭৭৩।
মুসলিম হা/৫২৩; মিশকাত হা/৫৭৪৮। ১০৯. মুসলিম হা/১৫৩; মিশকাত হা/১০।
No comments