Header Ads

Header ADS

সর্বস্তরের লােকদের নিকট দাওয়াত

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সর্বস্তরের লােকদের নিকট দাওয়াত

সর্বস্তরের লােকদের নিকট দাওয়াত

ছাফা পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে কুরায়েশদের নিকটে দাওয়াত পৌঁছানাের পর রাসূল (ছাঃ) এবার সর্বস্তরের মানুষের নিকটে দাওয়াত পৌঁছানাের সিদ্ধান্ত নিলেন।


উল্লেখ্য যে, ঐ সময় মক্কায় বিদ্রুপকারীদের নেতা ছিল পাঁচ জন ; বনু সাহম গােত্রের ‘আছ বিন ওয়ায়েল, বনু আসাদ গােত্রের আসওয়াদ বিন মুত্ত্বালিব, বনু যােহরা গােত্রের আসওয়াদ বিন ‘আব্দে ইয়াছ, বনু মাখযুম গােত্রের অলীদ বিন মুগীরাহ এবং বনু খুযাআহ গােত্রের হারিছ বিন তুলাত্বিলা। এই পাঁচ জনই আল্লাহর হুকুমে একই সময়ে মৃত্যুবরণ করে। এভাবেই আল্লাহর ওয়াদা সত্যে পরিণত হয় (ইবনু হিশাম ১/৪০৯-১০)। কেননা আল্লাহ আগেই স্বীয় নবীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, তােমাকে বিদ্রকারীদের জন্য আমরাই যথেষ্ট' (হিজর ১৫/৯৫)।


রাসূল (ছাঃ) মক্কার হাটে-মাঠে-ঘাটে, বাজারে ও বস্তিতে সর্বত্র দাওয়াত ছড়িয়ে দিতে থাকলেন। তিনি ও তাঁর সাথীরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। এ সময় তাঁরা মূর্তিপূজার অসারতা, শিরকী আকীদার অনিষ্টকারিতা এবং তাওহীদের উপকারিতা বুঝাতে থাকেন। সাথে সাথে মানুষকে আখেরাতে জবাবদিহিতার বিষয়ে সজাগ করতে থাকেন।


স্মর্তব্য যে, মাক্কী জীবনে যে ৮৬টি সূরা নাযিল হয়েছে, তার প্রায় সবই ছিল আখেরাত ভিত্তিক। এর মাধ্যমে দুনিয়াপূজারী ভােগবাদী মানুষকে আখেরাতমুখী করার চেষ্টা করা হয়েছে।

আর এটাই হ’ল যুগে যুগে ইসলামী সমাজ গঠনের প্রধান মাধ্যম। সেই সাথে আরবদের পারস্পরিক গােত্রীয় হিংসা, দলাদলি ও হানাহানির অবসানকল্পে এবং দাসমনিব ও সাদা-কালাের উঁচু-নীচু ভেদাভেদ চূর্ণ করার লক্ষ্যে তিনি এক আল্লাহর দাসত্বের অধীনে সকল মানুষের সমানাধিকার ঘােষণা করেন।

No comments

Powered by Blogger.