Header Ads

Header ADS

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দাওয়াতী জীবন

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইসলাম প্রচার

দাওয়াতী জীবন

 নবীদের দাওয়াতকে গােপনে ও প্রকাশ্যে দু'ভাগে ভাগ করার কোন সুযােগ নেই। কেননা তারা নিজ সম্প্রদায়ের নিকট প্রকাশ্যভাবেই নবুয়তের দাবী নিয়ে দাওয়াত শুরু করেন। প্রত্যেক নবীই তার কওমকে বলেছেন হে আমার কওম! তােমরা আল্লাহর ইবাদত কর। তিনি ব্যতীত তােমাদের কোন উপাস্য  নেই'। আমাদের নবীও বলেছেন,হে মানবজাতি! আমি তােমাদের সকলের প্রতি আল্লাহর প্রেরিত রাসূল..' (আ'রাফ ৭/১৫৮)।

তবে এটাই স্বাভাবিক যে, আপনজনদের নিকটেই প্রথমে দাওয়াত দেওয়া হয়। আর এই দাওয়াত স্থান-কাল-পাত্রভেদে কখনাে গােপনে কখনাে প্রকাশ্যে কখনাে সর্বসমক্ষে হয়ে থাকে। ইবনু ইসহাক বিনা সনদে উল্লেখ করেন, তার নিকটে এই মর্মে খবর পৌঁছেছে। যে, আল্লাহ তাকে প্রকাশ্যে দাওয়াত দেওয়ার নির্দেশ দানের আগ পর্যন্ত রাসূল (ছাঃ)। তিন বছর গােপনে দাওয়াত দিয়েছেন' (ইবনু হিশাম ১/২৬২)। ইবনু সা'দ এবং ওয়াক্বেদীও সে কথা বলেছেন। বালাযুরী এটাকে চার বছর বলেছেন। অনেক জীবনীকার এই মেয়াদের উপর ভিত্তি করে শেষনবী (ছাঃ)-এর দাওয়াতের মেয়াদ নির্দিষ্ট করেছেন। অথচ দাওয়াতের এইরূপ সীমা নির্ধারণ করার কোন দলীল নেই' (মা শা-‘আ ২৯ পৃঃ)।

যেকোন সংস্কার আন্দোলন শুরু করতে গেলে প্রথমে তা গােপনেই শুরু করতে হয়। পুরা সমাজ যেখানে ভােগবাদিতায় ডুবে আছে, সেখানে ভােগলিহীন আখেরাতভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার দাওয়াত নিয়ে অগ্রসর হওয়া সাগরের স্রোত পরিবর্তনের ন্যায় কঠিন কাজ। এ পথের দিশা দেওয়া এবং এ পথে মানুষকে ফিরিয়ে আনা দুটিই কঠিন বিষয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সেকাজের জন্যই আদিষ্ট হয়েছিলেন।


অহী প্রাপ্ত হওয়ার পরেই খাদীজার সাথে তিনি সে সময়ে মক্কার বয়ােবৃদ্ধ সেরা বিদ্বান অরাকৃা বিন নওফাল-এর কাছে যান। তিনি সবকিছু অবগত হওয়ার পর তাঁকে ভবিষ্যৎ বিরােধিতা ও আসন্ন বিপদ। সম্পর্কে সাবধান করে দেন। ফলে তিনি প্রথমে গােপনে দাওয়াত শুরু করেন। যদিও খাদীজা, আলী, আবুবকর, ওছমান প্রমুখদের মত মক্কার সেরা ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তিগণের ইসলাম কবুলের পর এই দাওয়াত আদৌ গােপন থাকেনি।

No comments

Powered by Blogger.